




নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে প্রতিটি ব্যক্তিকেই কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কেউ কেউ সেই সব সমস্যার সমাধান করে জীবনে এগিয়ে চলে। আবার কেউ কেউ সমস্যার সামনে মাথা নত করে দেয়। আজ আমরা আপনাদের আইএএস অফিসার বরুণ বরনবাল এর ব্যাপারে বলব। আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েও ইউপিএসসি পরীক্ষায় 32 তম রাঙ্ক পেয়েছিলেন।





আইএএস অফিসার বরুণ বরনবাল মহারাষ্ট্রের একটা ছোটো গ্রামের বাসিন্দা। তার জন্ম হয় এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। ছোট থেকেই বরুণ পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন। কিন্তু আর্থিক পরিস্থিতির কারণে পড়াশোনা করা তার জন্য খুবই অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবুও তিনি হার মানেননি এবং কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। জীবনে যখন তিনি অগ্রসর হওয়া শুরু করলেন সেই সময় তার জীবনে নেমে এলো অন্ধকার।





সেই সময় তার বাবা মারা যায়। আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়েও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তার বাবা চলে যাওয়ার পর ভীষণ ভেঙে পড়েন। এরপর তিনি নিজেকে সামলিয়ে, পরিবারকে সামলিয়ে স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যান। একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় বরুণ দশম শ্রেণীতে টপ করার পর তার বাবার চিকিৎসা যে ডাক্তার করেছিলেন তিনি 10000 টাকার সাহায্য করেছিলেন তাদের।





বরুণ এক ইন্টারভিউতে জানিয়েছিলেন তিনি তার পড়াশোনার জন্য এক পয়সাও খরচ করেন নি। তাকে অনেকেই সাহায্য করেছিলেন। স্কুল পাস করার পর বরুণ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর বরুণ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেন। 2013 ইউ পি এস সি পরীক্ষায় বরুণ বরনবাল 32 তম রাঙ্ক পান। আজ তিনি বহু মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের অনুপ্রেরণা।




