




জীবনের সবথেকে বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। এর পরের ধাপ ই হলে উচ্চ মাধ্যমিক। এই দুটি পরীক্ষায় ভালো নম্বর ভবিষ্যতের ভালো ক্যারিয়ার গড়ার রাস্তা খুলে দেয়। অনেকেই এই পরীক্ষায় প্রত্যাশিত নম্বর পায়, অনেকেই পায় না। আজ ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।





আমরা দুটো হাত দুটো পা চোখ কান নাক সমস্ত সচল থাকলেও বারবার কোনো না কোনো অজুহাতে নিজেদের অসফলতা কে আড়াল করতে চাই।কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কে জয় করে জীবনের বহু পরীক্ষায় সফল হতে পেরেছেন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় শারীরিক প্রতি’বন্ধ’কতা কে জয় করে সফল হওয়ার গল্প এর আগেও বহুবার আমরা জেনেছি।





ফের এই বছর একজন ছাত্র নিজের সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাধ্যমিকে পাস করে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করল।
ছাত্রের নাম বাপি ফকির। ছোটবেলা থেকেই তার দুটি অচল, শরীরের বিভিন্ন অ’ঙ্গ-প্রত্য’ঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে না। উঠে বসতে পারে না বাপি।





এমত অবস্থায় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে
ডিহিকলস হাইস্কুল থেকে সে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্র মগরাহাট অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ইন্সটিটিউশন, মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলোতে মায়ের কোলে চেপে ছাত্রটি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা দেয় বেঞ্চে কাত হয়ে শুয়ে শুয়ে।





বাপির মা সেরিনা বলেন,”ছোটবেলা থেকেই ছেলের রোগ সারাতে বহু হাসপাতাল ছোটাছুটি করেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ইদানিং বাপির এক পাশে শুয়ে শুয়ে এক কানে ঠান্ডা লেগে গেছে। ঠান্ডা লাগার কারণে সে ওই কানে শুনতে পাচ্ছে না। ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার বলেছেন তানি যন্ত্র লাগানোর জন্য ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। আমার স্বামী পেশায় দরজি। কত টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না”।





ডিহিকলস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরউদ্দিন গায়েন বলেন, ‘‘ওই ছাত্রের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে। নিয়ম মেনে ৪৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে”।অবশেষে ফলাফল ঘোষণা করা হলে বাপির।প্রত্যেকটা সাবজেক্টেই মোটামুটি ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছে বাপি। বাপির এই নম্বরে খুশি তার মা ও বাবা। ভবিষ্যতে তার পড়াশোনা আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার কথা জানায় বাপি।




