“কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়”,এই একটি বছর আমাদের জীবনে অনেক স্মৃতি তৈরি করে দিল। কখনো ভালো, কখনো খারাপ, কখনো ভয়’ঙ্কর। এখন এই অবস্থায় যেখানে বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের বাড়ি মানুষ যেতে ভ’য় পায়, ভ’য়ে খুব আপনজন কেও যখন কেউ ডাকছে না নিজের বাড়িতে, সেই অবস্থায় ক’রোনা আ’ক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে রীতিমতো রান্না করে মাংস ভাত খেয়ে, ৫০ হাজার টাকা এবং সমমূল্যের গয়না নিয়ে চম্পট দিল চো’রেরা। এমনই একটি অভিনব চু’রির ঘটনা ঘটতে দেখা গেল ঝাড়খন্ডের জামশেদপুরে। জামশেদপুরের অন্য আরেকটি জায়গায় দুটি বাড়ি থেকে চু’রি হয়ে গেল স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী।
জামশেদপুরের ডিএসপি অলক রঞ্জন জানিয়েছেন, যে ব্যক্তির বাড়ি থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং সমমূল্যের গয়না চু’রি হয়েছে, সেই ব্যক্তি টাটা মেন হাসপাতালে ক’রোনা আ’ক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে। চু’রির ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই পু’লিশ মোতায়েন করা হয়েছে ওই অঞ্চলটিতে, সাথে কনটেইনমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চোরেরা মূলত দরজা ভেঙে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপর তারা মাংস ভাত চাপাটি রান্না করে খেয়ে,যাবতীয় মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চু’রি করে পালায় বলে অভিযোগ।
যে ব্যক্তির বাড়িতে চুরি করা হয়েছে, তার ভাই থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, গত ২৮ শে জুলাই আমার দাদার করোনা পরীক্ষার রি’পোর্ট প’জিটিভ আসার পর থেকেই তার বাড়ি এবং আশেপাশের অঞ্চলটিকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। দাদা টাটা মেন হাসপাতালে ভর্তি হবার পর স্ত্রী এবং সন্তান গত একমাস ধরে গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। দাদার বাড়ি সিল করে দেয় পু’লিশ। দাদা এরইমধ্যে বাড়ির অবস্থা আমাকে দেখে আসতে বলে। আমি গিয়ে দেখতে পাই যে চু’রি হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ক’রোনা আক্রা’ন্ত রোগীর বাড়িতে ঢুকে মোবাইল ফোন টাকা চু’রি করে নিয়ে গেছে চো’র। এই ভিন্ন দুটি অভিনব চু’রির ঘটনায় জামশেদপুর অঞ্চলে চা’ঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই তদ’ন্ত করে আসল ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পু’লিশ। সিল করা বাড়িতে যখন চোর চু’রি করল,তখন আশেপাশের মানুষেরা কেন কিছু বলল না এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।