




বিহার এবং উত্তর প্রদেশের অনেক জেলায় বজ্রপাতের খবর পাওয়া গেছে। বিহারের ব’জ্রপা’তে ৮৩ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে বেশি দেওরিয়ায় নয়জন মা’রা গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কুমারের কার্যালয় থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব’জ্রপাতে নিহ’ত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পরিচালনা দ্বারা জারি করা নির্দেশিকা যাতে সবাই মেনে চলে।





মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আরও ঘোষণা করা হয়েছে যে নিহ’তের পরিবারকে প্রত্যেককে চার লক্ষ টাকা ক্ষ’তিপূরণের পরিমাণ প্রদান করা হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান সম্পাদক প্রত্যয় অমৃ’ত বিবিসিকে বলেছেন, “অন্যান্য জেলার সম্পত্তির সমস্ত জীবন ক্ষয়ক্ষ’তির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।অনেক জেলায় ব’জ্রপা’তের প্রভাব বেশি ছিল, তাই ক্ষ’তি সম্ভবত বেশি হতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।





প্রত্যয় অমৃ’ত আরও বলেছিলেন, “আবহাওয়া বিভাগ ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া একই রকম থাকবে। তাই মানুষকে নিজেদের সচেতন ও যত্নবান হতে হবে। বৃষ্টি ও ব’জ্রঝড়ের সময় বাইরে না থাকার পরামর্শ মেনে করুন।” বিজ্ঞান কেন্দ্র পাটনা আগামী তিন দিনে বিহারের অনেক জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে।





এই সতর্কতা অনুযায়ী অনেক জেলায় ভারী বৃষ্টি ও ব’জ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষ’তি, নিম্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, যানজট বিঘ্ন, বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত এবং নদীর পানির স্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে।রাজ্যের প্রায় দশটি জেলা শুক্রবারের জন্য রেড জোনে ঘোষণা করা হয়েছে হাহ। তাদের মধ্যে পূর্ব চম্পারন, পশ্চিম চম্পারান, গোপালগঞ্জ, সীতামারী, মধুবানী, সুপৌল, আরারিয়া, কিশনগঞ্জ, পূর্ণিয়া, সাহারসা ও মধেপুরায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে।





উত্তরপ্রদেশে ২৪ জন মা’রা গিয়েছিলেন, অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের বিবিসির সহযোগী সাংবাদিক সমীরত্মজ মিশ্র জানিয়েছেন যে বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী বর্ষণে ব’জ্রপাতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহ’ত এবং বহু লোক আহত হয়েছেন।অনেক জায়গা থেকে পশু পাখির মৃ’ত্যুর খবর পাওয়া গেছে।





উত্তর প্রদেশের ত্রাণ কমিশনার সঞ্জয় গোয়াল বিবিসিকে বলেছেন, “আজ আকাশে ব’জ্রপাতে মা’রা যাওয়ার সংখ্যা ২৪ জন। দেওরিয়া জেলায় সর্বাধিক মৃ’ত্যুর ঘটনা ঘটেছে এবং প্রয়াগরাজ জেলায় ছয়জন মা’রা গেছেন।” এর সবচেয়ে বিপ’জ্জনক প্রভাবটি গোরক্ষপুর-বস্টি মন্ডলে হয়েছে যেখানে ১২ জন মা’রা গিয়েছিল এবং কুড়ি জনেরও বেশি লোক খুব খারাপভাবে পড়েছিল।





প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, এর মধ্যে বেশিরভাগ ঘটনার সময় লোকেরা মাঠে কাজ করত।দেওরিয়া ছাড়াও সিদ্ধার্থনগরে দুজন এবং কুশিনগরে একজন মা’রা গেছেন।দেওরিয়া জেলায় কালেক্টরেট চত্বরে হঠাৎ ব’জ্রপাত হয় এবং শর্ট সার্কিটের কারণে অনেক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং কম্পিউটার ধ্বং’স হয়ে যায়।





সদর দীনেশ মিশ্র সূত্রে জানা গেছে, অফিসে অনেক ক্ষ’তি হয়েছে।সিদ্ধার্থনগরের ইতওয়া থানা এলাকায় ব’জ্রপা’তে দুই প্রবীণ ব্যক্তি সহ তিনজন মা’রা গেছেন। এই লোকেরা গ্রামের বাইরে মাঠে কাজ করত। আক’স্মিকভাবে, প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে হঠাৎ ব’জ্রপা’তের ঘটনাটি পড়ে এবং তিনজনই এর ব’জ্রপা’তের জেরে মা’রা যায়।





প্রয়াগরাজের যমুনাপর এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সাথে ব’জ্রপা’তের ঘটনা ঘটে। এখানে আকাশে ব’জ্রপা’তে ছয়জন মা’রা গেছেন, এবং সাত জন খারাপভাবে দ’গ্ধ হয়েছেন। গাছ উপড়ে ফেলা এবং পশুর মৃ’ত্যুও রাজ্যের অনেক জেলায় খবর। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহও ব্যা’হত হয়েছে।





প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনায় শো’ক প্রকাশ করে টুইট করেছেন, “বিহার ও উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতের কারণে বহু লোকের মৃ’ত্যুর দুঃখজনক সংবাদ পেয়েছি। রাজ্য সরকারগু’লি ত্রাণ কাজে ব্যস্ত। যারা এই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই”। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত প্রশাসন।




