




সোশ্যাল মিডিয়ায় এ জাতীয় জিনিসগুলি বহুবার দেখা যায়, যা দেখে প্রত্যেকে দাঁতে আঙ্গুল চাপায়। এই বিস্ময়কর জিনিসগুলি দেখে, এক মুহুর্তের জন্য বিশ্বাস করা মুশকিল হয়ে যায় যে বাস্তবে এরকম কিছু ঘটেছে। আজকাল, 6 বছরের শিশুটিকে ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বড় ভূমিকায় থাকতে দেখা যায়। এই ছবিগুলির বিশেষ বিষয় হ’ল এই ছোট বাচ্চার সিক্স প্যাক অ্যাবস দেখা যাচ্ছে। ৩২ বছর বয়সী মানুষের ব্যায়াম করে ছয় প্যাকের অ্যাবস ব্যবহার করেছেন।





আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই 6 বছরের শিশুটি একজন ফুটবল খেলোয়াড়ও। একসাথে ইনি একজন জিমন্যাস্টও। শিশুটি ইরানের বাবোল শহরের বাসিন্দা। শিশুটির নাম আর্ট হুসেনি। আর্ট হুসেনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে উপস্থিত এবং ৪ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। আর্টের চুল যেহেতু লম্বা, তাই অনেক সময় লোকেরা তাকে মেয়ে হিসাবেও বিবেচনা করে।





যদিও আরটের বয়স মাত্র 6 বছর, তবে তিনি যে পরাস্তকগুলি করছেন তা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। প্রায় দুই বছর আগে আরটকে প্রথম দেখা গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ সময় তাকে বাবার সাথে প্রশিক্ষণ দিতে দেখা গেছে। তারা দেওয়ালে টিকটিকি মতো ঠিক উপরে উঠছিল।





ফুটবল মাঠে মেসি-রোনাল্ডোদের আমরা যে কারণে দেখতে বসি, তা হল স্কিল। সবুজ গালিচায় যেন শিল্পী পা দিয়ে শিল্প গড়ছেন। সেই মেসিদেরই যেন ছোট সংস্করণের খোঁজ মিলল ইরানে। দেখে মনে হবে সে মেয়ে, কিন্তু আদতে ছেলে।





করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন চলছে ইরানে। ফলে আরাত হোসেইনি নামের ওই শিশু নিজের ঘরকেই মাঠ বানিয়ে নিয়েছে। গায়ে বার্সেলোনায় মেসির ১০ নম্বর জার্সি। ‘মেসি তোমাকে ভালোবাসি’ বলে শুরু করল একের পর এক বিস্ময়কর দক্ষতার প্রদর্শনী। পায়ে বল নিয়ে নানান কারিকুরি শেষে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে গোল! গোল দেওয়ার ধরন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো হলেও আরাত শুধুই মেসির ভক্ত।





নিজের ফুটবল দক্ষতার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করেছে আরাত। আর সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার সংখ্যাও এখন এক লাফে ৩ মিলিয়নের বেশি। শুধু কি তাই খোদ মেসি তার সেই পোস্টে কমেন্ট করেছেন, যা আরাতকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। মেসি লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ আরাত!! আমি তোমার মধ্যে দারুণ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, অসাধারণ!’





মেসির মন্তব্যে দারুণ খুশি আরাত জবাবে লিখেছে, ‘লিও মেসি, ধন্যবাদ আমার ভিডিওতে কমেন্ট করার জন্য।’ মেসি একা নন, বার্সেলোনার পক্ষ থেকেও আরাতের পোস্টে ‘লাভ ইমোজি’ দিয়ে কমেন্ট করা হয়েছে।





আরাতের স্বপ্ন একদিন সে বার্সেলোনার হয়ে খেলবে। এমনকি নিজেকে মেসির সঙ্গে তুলনা করে একদিন তার মতো গ্রেট ফুটবলার হতে চায় সে। তাকে অনেকে পরবর্তী ‘মেসি’ বলেও ডাকে। আবার অনেকেই ‘আরাত মেসি’ বলেও ডাকে। মজার ব্যাপার হলো আরাত কিন্তু লিভারপুলের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সেখানে তার সমবয়সীদের চেয়ে তার ফুটবল দক্ষতা রীতিমত বিস্ময়কর।





আরাত ভালো ফুটবল খেলার পাশাপাশি জিমন্যাস্টিকস, বাস্কেটবল এবং তায়কোয়ান্দোতেও দক্ষ। সেসব দক্ষতার প্রদর্শনী নিয়ে সে বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছে। এমনকি মেসির অনুকরণে মাঠে তার ফুটবল জাদু প্রদর্শনীর ঘটনাও এই প্রথম নয়। মেসি নিজেও আরাতের প্রতি তার দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।





আরাতের আইসক্রিমের খুব ভক্ত। খেলা হিসেবে ফুটবল, সাঁতার এবং বক্সিং তার প্রিয়। ছবি আকতেও ভালো লাগে তার। আরাতের ইনস্টাগ্রামের ওই পেজে লেখা আছে, ‘আমি আইসক্রিম খেতে ভালোবাসি। ফুটবল, শারীরিক কসরত, সাঁতার ও বক্সিং আমার প্রিয়। আমার আরও ভালো লাগে ছবি আঁকতে, দ্রুতগামী গাড়ি আর বাবার সঙ্গে খেলতে ভালো লাগে।’ তার এসব কথা পড়ে এবং ভিড়িও দেখে অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন। একজনের মন্তব্য, ‘আশ্চর্য! তোমার ভিডিওগুলো মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো’। আরাতের অপর একজন ভক্ত লিখেছেন ‘আরাত তুমি অসম্ভব প্রতিভাধর।’




