বাড়িতে এই কাজগুলো কখনোই মেয়েদের দিয়ে করাবেন না, মা লক্ষ্মী চঞ্চল হয়, আসতে পারে দারিদ্রতা।

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে গৃহস্থের অন্দরে সুখ-সমৃদ্ধি আপনা থেকেই আসে না। তার জন্য় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। আর এই নিয়মগুলি যদি কেউ মানতে না পারেন, তাহলেই কিন্তু বিপদ!কী বি’পদ! সেক্ষেত্রে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশ’ঙ্কা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষ’তি হয়। ফলে গৃহস্থে দারিদ্রতার ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না।

তাই তো বলি বন্ধু, সুখে সান্তিতে যদি থাকতে চান, তাহলে ভুলেও বাড়ির মহিলাদের দিয়ে এই কাজগুলি করাবেন না যেন! আর বো’ল্ডস্কাইয়ের মহিলা পাঠকদের মধ্যে যারা এই প্রবন্ধটি পড়ছেন, তারা খেয়াল রাখবেন পরিবারের সদস্যদের উন্নতির কথা ভেবে ভুলেও এই কাজগুলি করতে যাবেন না যেন!এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল

১. বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করা:বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে সূর্যদয়ের পরে ভুলেও মহিলাদের বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে মা লক্ষী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ফলে নেগেটিভ এনার্জির প্রকোপ এতটা বেড়ে যায় যে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এখন প্রশ্ন হল যাদের কোনও উপায় নেই, তারা কী করবেন? সেক্ষেত্রে মহিলারা ঘর-দোর পরিষ্কার করতেই পারেন, তবে তা করতে হবে সূর্যদয়ের আগে, পরে নয়!

২.স্নান করার নিয়ম:খেয়াল করে দেখবেন আমাদের মায়েরা সারা দিন ধরে বাড়ির কাজ করেন। তারপর সব সেরে বেলা ৩-৪ টে নাগাদ স্নান করে দুপুরের খাবার খান। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে সকাল সকাল ঘর-দোর পরিষ্কার করে, তার পরপরই মহিলাদের স্নান সেরে নেওয়া উচিত। কারণ এমনটা করলে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে পকেট ভর্তি টাকার মালিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়। তাই মা, পরিবারের সমৃদ্ধির কথা ভেবে দয়া করে দেরি করে স্নান করবেন না যেন!

৩. রান্না করার সময় খেয়াল রাখবেন:এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পরিবারের জন্য রান্না করার অর্থ হল ভগবানের জন্য রান্না করা। তাই তো পরিবারিক সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করতে সকাল সকাল স্নান করে, পুজো সেরে তারপর রান্না শুরু করা উচিত। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন বেশিরভাগ বাঙালি বাড়িতেই এই নিয়ম মানা হয় না। আমাদের মায়েরা রান্না সারার পর গিয়ে স্নান সারেন, যা একেবারেই করা উচিত নয়। তাই এবার থেকে ভুলেও এমনটা করবেন না যেন! কী কারণে এই উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, তা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন!

৪. খাবার খাওয়ার নিয়ম:শাস্ত্র মতে মা লক্ষ্মীর পুজো করে, তাঁকে প্রসাদ নিবেদন করার পর বাড়ির মহিলাদের খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এমনটা না করলে মা লক্ষ্মী খুব রেগে যান। ফলে সুখ-সমৃদ্ধির ঝাঁপি খালি হতে সময় সাগে না। এই কারণেই তো সকাল সকাল উঠে স্নান সেরে পুজো করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে মহিলাদের। কিন্তু কজনই বা এই নিয়ম মেনে চলেন বলুন!

Related Posts

প্রত্যেক শনিবার হনুমানজির কাছে উৎসর্গ করুন এই জিনিসগুলো, আপনি সমস্ত বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পাবেন

আপনারা সকলেই মানেন যে শনিবার দিনটি শুধুমাত্র শনি দেবকেই উৎসর্গ করা হয়। কিন্তু আপনারা যদি শনিবারে  হনুমানের উপাসনা করেন,তাহলে হনুমান এবং শনি দেব দুজনই একসাথে সন্তুষ্ট হবেন।…

এই সাধরণ নিয়মে হনুমানজির পুজো করলে কেটে যাবে সমস্ত সংকট, দূর করবে কু-দৃষ্টির প্রভাব

রামের ভক্ত ভগবান হনুমানকে সমস্ত সমস্যা থেকে উদ্ধা’র করে বলে হনুমানজিকে সংকট মোচন দেবতা বলে মনে করা হয়। সপ্তাহের প্রতিটি দিন কোনও না কোনও দেবতার উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত।…

মঙ্গলবারে হনুমানজির উদ্দেশ্যে ভক্তিভরে শুধু এইটুকু নিয়ম করুন জীবন পুরোপুরি বদলে যাবে

হিন্দুশাস্ত্রে তেত্রিশ কোটি দেব দেবীর কথা উল্লেখ আছে। আর এই প্রত্যেক দেব দেবীর আরাধনার একটি নির্দিষ্ট তিথি রয়েছে। আমাদের সপ্তাহের প্রত্যেকটি দিনই কোন না কোন দেব দেবীর…

শৈশব কাল থেকে সন্তানদের প্রতি বাবা মায়ের যে ১০ টি ভুলের কারণে পরে আফশোস করতে হয়

ঈশ্বর মানুষের কাছে সব সময় থাকতে পারেন না বলেই তার পরিবর্তে তিনি জগতে বাবা-মাকে পাঠিয়েছেন।প্রত্যেক বাবা-মার কাছে তাদের শ্রেষ্ঠ উপহার তাদের সন্তান। প্রত্যেক অভিভাবকরাই চায় জীবনের সেরা…

মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে এই উপায় গুলো মেনে চলুন কোনদিনও আপনার সংসারে কোন কিছুর অভাব থাকবে না

মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করে জীবনে কখনও অর্থের অভাব হয় না এবং জীবন সুখের সাথে চলে যায়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মী থাকেন সেই বাড়িতে সর্বদা সুখ…

ছোট ছোট যে ভুলের কারণে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন,সংসারে আসে দরিদ্রতা অভাব-অনটন! জেনে নিন তার প্রতিকার

একটি খালি বাড়িতে যখন একটি পরিবার একত্রিত ভাবে বসবাস করতে শুরু করে একটি পরিবার একটি করে তোলে। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কথা বলার সাথে সাথে পরিবারের ভালবাসা, বাস্তুও…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *