




কাশী কথাটা এসেছে কাশ থেকে।যার প্রকৃত অর্থ জ্বলজ্বল করা। কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির হিন্দু তীর্থক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেই মন্দির নিয়েই কিছু স্বল্প খ্যাত তথ্য ।





১| প্রাচীন শহর কাশী বা বারাণসী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজার শাসন দেখেছে ।কেউ বিখ্যাত‚ কেউ আবার কুখ্যাত ।গঙ্গার পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই শহর একসময় ছিল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পীঠস্থান । পরে আবার তা কুক্ষিগত হয় হিন্দুদের ।





২| নথি বলছে ১৪৯০ সনে তৈরি হয়েছিল কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের বর্তমান রূপ । মুঘল সম্রাট আকবর অনুমতি দিয়েছিলেন মন্দির নির্মাণে । কিন্তু বারবার এই মন্দিরকে পড়তে হয়েছে আক্রমণের মুখে ।





৩| কাশী বিশ্বনাথ দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গর মধ্যে অন্যতম । কথিত‚ স্বয়ং মহাদেব নিজে এখানে বসবাস করতেন । মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব এই মন্দির আক্রমণ করেছিলেন।





৪| তাঁর হামলা থেকে শিবলিঙ্গকে বাঁচাতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল গোপন স্থানে । বলা হয়‚ একটি কুয়োর মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয় । সেই কুয়োর নাম এখন হল জ্ঞান ভাপী।





৫| কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির নির্মাণ এবং পুনর্নিমাণে অনেকে সাহায্য করেছেন । সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল ইন্দোরের রানি অহল্যাবাই হোলকারের অবদান । তিনি এই মন্দির নির্মাণে বিশাল অঙ্কের অর্থ দান করেছিলেন ।





৬| প্রচলিত বিশ্বাস‚ পৃথিবী সৃষ্টির সময় সূর্যের প্রথম রশ্মি স্পর্শ করেছিল কাশীর ভূমি । স্বয়ং মহাদেব এই নগরীর অভিভাবক এবং রক্ষাকর্তা । বিশ্বনাথ মন্দিরের মাথায় একটি সোনার ছত্র আছে । ভক্তদের বিশ্বাস‚ এই ছত্রের দিকে তাকিয়ে মনে মনে কিছু প্রার্থনা করলে তা পূর্ণ হয় ।




