




বধূ নি’র্যাতন এখন সমাজের একটি ব্যা*ধি,প্রতিদিন সংবাদ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যা আমাদের সামনে আসে।একটি মেয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে সংসার করতে আসে।কিন্তু সেখানে তার শাশুড়ি শ্বশুর কেউই তাকে আপন করে নিতে পারেন অর্থাৎ নিজের মেয়ের মত ভাবতেই পারেনা।এরকম উদাহরণ আমরা বহু পেয়েছি।কিন্তু তার ব্যাতিক্রম আছে।নিজের পুত্রবধুকে মেয়ের মত লালন-পালন করা এমন দৃষ্টান্ত খুব কমই হয়তো পাওয়া যাবে





যখন করোনা আ*তঙ্কে গোটা ভারতবাসী আ*তঙ্কিত ঠিক তখনই মধ্যপ্রদেশে এমনই একটি ঘটনা ঘটল সমাজ একটি দৃ*ষ্টান্ত রেখে গেল।মধ্যপ্রদেশের একটি ছোট্ট শহর রতলাম।আট বছর আগে এই শহরের পুত্রবধূ হয়ে এসেছিল সোনম।সোনমের সাথে বিয়ে হয় এই শহরের বাসিন্দা মোহিত এর। বিয়ের পর তাদের সংসার খুব সুখেই কাটছিল। কিন্তু বাঁধ সাধলো মোহিত এর ক্যান্সার।বিয়ের 3 বছরের মাথায় ক্যান্সার ধরা পড়ে মোহিত এর।





সেই সময় দিনরাত এক করে মোহিতের সেবা করেছিল সোনম।কিন্তু তবুও শেষ রক্ষা হয়নি।টানা তিন বছর ক্যা’ন্সারের সাথে লড়াই করে সোনমের ভালোবাসার কাছে হার মেনে মোহিত মা’রা যায়।মা’রা যাবার পরেও সোনাম থেকে যায় তার শ্বশুর শাশুড়ির কাছে।তার শশুর শাশুড়ি ও পুত্রবধূ কে নিজের মেয়ের মতো আগলে রেখেছিল।কিন্তু তাদেরও তো বয়স হচ্ছে।তাদের মারার পর তাদের এই মেয়ের দায়িত্ব কে নেবে,এই সব ভেবেই তারা ঠিক করেন মোহিত এর দায়িত্ব অন্য কারো হাতে তারা তুলে দিয়ে যাবেন।সেই মতো তারা দেখাশোনা শুরু করেন মোহিত এর।





অবশেষে তারা পাত্র পেয়ে যান।পাত্র সৌরভ জৈন,নাগদা নিবাসী।সোনমের শশুরের কথায় সোনম বুদ্ধিমতী,শিক্ষিত।তাই সোনমের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সোনম তার ভবিষ্যত জীবনে খুব সুখী হবে এ বিষয়ে তারা আশাবাদী।যদিও বিয়েতে সে রকম কিছু হয়নি।ঠিক হয়েছিল দুই বাড়ির উপস্থিতিতে একটি হোটেলে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে। কিন্তু লকডাউন এর জেরে তাদের সেই আনন্দে ভাটা পড়ে।প্রথমে ঠিক হয়েছিল নাগদাতেই বিয়ে হবে।কিন্তু পরিস্থিতির জেরে বিয়ে হয় মোহিতের মামা বাড়ি থেকে।





বিয়েতে সেরকম সারম্বর ছিলনা, ছিলনা কোনো জাঁকজমক,গুটিকয়েক লোকের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এই বিয়ে।কিন্তু আন্তরিকতার কমতি ছিল না এই বিয়েতে।সোনাম যেমন তার অনেক স্বপ্ন সাজিয়ে এই বাড়িতে এসেছিল,ঠিক সেরকম সে এই বাড়ি থেকেই আবার দুচোখ ভরে স্বপ্ন নিয়ে সৌরভের সাথে সংসার বাঁধলো।মধ্যপ্রদেশের এই পরিবারের কথা এখন সবার মুখে মুখে।পুত্রবধুকে মেয়ে হিসেবে মেনে নিয়ে তার বিবাহ দেওয়া একটি জ্ব*লন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল সমাজের বুকে।




