




25 ডিসেম্বর, ক্রিসমাস সারা দেশে উদযাপিত হয়েছিল। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, বলিউডের সমস্ত তারকারাও নিজস্ব উপায়ে ক্রিসমাস উত্সবটি উদযাপন করেছিলেন। বড়দিন আনন্দের উত্সব। প্রতি বছর সব জায়গায় এর তেজ দেখা যায়। এদিকে, আসুন আমরা আপনাকে বলি যে কারিনা কাপুর খানের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে যা তার কিছু ভক্ত পছন্দ করছেন না। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ভিডিওটিতে তাঁর ভক্তরা অসন্তুষ্ট।





আসুন জেনে নেওয়া যাক সেদিন কি হয়েছিল, ক্রিসমাস উপলক্ষে কারিনা কাপুর তার ছেলে তাইমুর আলী খানকে নিয়ে মুম্বাইয়ের মাউন্ট মেরি চার্চে গিয়েছিলেন। ক্রিসমাস উদযাপনে, যখন কারিনা কাপুর তাঁর ছেলে তাইমুরের সাথে যাচ্ছিলেন, একই সময়ে একটি ভিক্ষা করা মেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। তবে কারিনা কাপুর একে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছিলেন।










এবং তিনি পুত্রকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলেন। এবং কারিনা কাপুরের সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মহিলা পুলিশকেও সেই ভিক্ষা করা মেয়েটিকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। ঘটনার পরপরই এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।এবং সামাজিক সাইটে লোকের কাছে পৌঁছতে শুরু করে। এরপরে মানুষের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। বেশিরভাগ লোক এই ভিডিওতে কারিনার আচরণে অসন্তুষ্ট। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন যে কারিনা অবশ্যই এই ভিক্ষা করা মেয়েটিকে সাহায্য করেছিলেন।





এই ভিডিওটি প্রকাশের পরে অনেকেই কারিনা কাপুরকে নিয়ে ট্রল করছেন। এই প্রসঙ্গে, একজন ট্রোলার লিখেছেন যে এত বড় বাড়ির একজন মহিলা হওয়ায় তিনি ভিক্ষা মেয়েকে সহায়তা করতে পারবেন না, লজ্জার বিষয়। একই সময়ে, এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরে কিছু লোক সেই মহিলা পুলিশ সদস্যকেও নিয়ে ট্রোল করছে যিনি মেয়েটিকে কারিনা কাপুর থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল।





প্রসঙ্গত, পারিবারিক প্রথা মেনে তৈমুর আলী খানও পড়বে ইংল্যান্ডের বোর্ডিং স্কুলে। সেখানেই পড়েছেন তার দাদা মনসুর আলী খান পতৌদি, বাবা সাইফ আলী খান, ফুফু সাবা ও সোহা আলী খান, বড় বোন সারা আলী খান ও ভাই ইবরাহিম আলী খান। ডেকান ক্রনিকলের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।





এই পরিবারের কাছের এক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, পতৌদি পরিবারে এমনটাই হয়ে আসছে। সাইফ আলী খানের বাবা প্রয়াত মনসুর আলী খান পতৌদি ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর সন্তান সাইফ আলী খানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সাবা আর সোহাও সেখানে পড়েছে। সাইফ ও অমৃতার দুই সন্তান সারা আর ইবরাহিমও সেখানে পড়াশোনা করেছেন। আর এবার তৈমুরের পালা।তবে শিগগিরই তৈমুরকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হবে না। দেরি আছে। সে জন্য তৈমুরের বয়স কমপক্ষে ১২ হতে হবে।





আরেকটা খবর হচ্ছে তৈমুরের বাবা বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের এই পারিবারিক সিদ্ধান্তে একটু মন খারাপ। তৈমুর তাঁর চোখের মণি। তৈমুরকে তিনি চোখের আড়াল করতে চান না। তাই পারিবারিক প্রথা হলেও এই সিদ্ধন্তে তাঁর তেমন সায় নেই।





সূত্র আরও জানিয়েছে, সাইফ না, মা কারিনা কাপুর খানই সন্তানকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠাতে অধিক আগ্রহী। এই মা মনে করেন, তাঁর সন্তানের ওপর যে পরিমাণ মিডিয়ার মনোযোগ, তা মোটেও ভালো নয়। তাই মিডিয়ার চোখকে ধুলা দিতে হলেও সন্তানকে দূরে পাঠাতে চান তিনি।





কিন্তু সাইফের আবার অন্য কথা। তাঁর সংকট ‘বলিউডের বাদশাহ’ শাহরুখ খানের মতোই। শাহরুখ যেমন তাঁর প্রথম দুই সন্তানের বড় হওয়া ‘টের পাননি’, অ্যাকশন আর কাটের বাইরে খেয়ালই করতে পারেননি, সাইফেরও তা–ই। তাই শাহরুখের মতো সাইফও চান তাঁর ছোট সন্তানের বেড়ে ওঠার সাক্ষী হতে। শুটিং শেষে ঘরে ফিরে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে। তাঁর সন্তানের বড় হওয়ায় নিজেকে যুক্ত রাখতে।





প্রসঙ্গত বলে রাখি করিনা কাপুর খান ও সইফ আলি খানের পুত্র তৈমুর আলি খান জন্মের পর থেকেই সেলেব্রিটি। সোশ্যাল সাইটে তাকে নিয়ে হৈচৈ চলতেই থাকে। তার নানা মুহুর্তের ছবি সোশ্যাল সাইটে নেটিজেনদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। সেই ছোট্ট তৈমুর এখন ৩ বছরের।




