




ন’বজাতক মেয়েকে ড্রে’নে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, দেবদূত রূপে এসেছিল সৈনিক এইরূপ ভাবে তার জীবন বাঁচি’য়েছিলেন।আজ, আমাদের দেশ দিনরাত বিজ্ঞানের দ্বারা উন্নতি করছে। দিন দিন ডিজিটাল ও আধুনিক হয়ে উঠছে। তবে কিছু লোকের চিন্তাভাবনা এখনও পিছিয়ে রয়েছে। তারা এখনও ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে পার্থক্য করে থাকে। ফলস্বরূপ, আমরা এরকম অনেক মা’মলার কথা শুনতে পাই যখন কোনও কন্যা সন্তান হওয়াতে পরিবারের সদস্যরা তাকে আ’বর্জনার স্তূ’পে বা ন’র্দমার মধ্যে ফে’লে দেয়।





এমনই একটি ঘটনা দেখা গেছে উত্তর প্রদেশের বাদাউন শহরে। যেখানে ক’ন্যা স’ন্তান হওয়াতে কেউ একজন নব’জাতক মে’য়েটিকে ড্রে’নের ভিতরে ফেলে দিয়েছিল। নব’জাতক নর্দ’মায় পড়ে থাকা অবস্থায় পুলিশের সেখানে দেবদূতের মতো পুলিশ শিশু’কন্যা’টিকে এগিয়ে বাঁ’চায়। বাদাউন থানার ঋষি পাল এই ঘটনার খবর পেয়ে তারা তত্ক্ষণাত সেখানে পৌঁছে মে’য়েটিকে ন’র্দমা থেকে তুলে নিয়ে তার কোলে তুলে নেন। এর পরে তিনি নব’জা’তক কন্যা’টিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।





ইশ্বরের অসীম কৃপা যে মেয়েটির অবস্থা এখন ভালো এবং সে বি’পদের বাইরে। বাদাউন পুলিশ তাদের অফিসিয়াল টুইটার একা’উন্টে এই পুরো মা’মলার তথ্য দিয়েছে। এই ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, বাদাউন থানার পুলিস একজন দেবদূত হিসাবে উপস্থিত হলেন ,” ঋষি পাল একটি ড্রে’নে পড়ে থাকা অ’জানা নব’জাতক শি’শুটির সংবাদ পেয়ে দেরি না করেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে উ’দ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, শিশুটি এখন বি’পদ মুক্ত।





এই টুইটের পরপরই এই সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আ’গুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যেকেই এ বিষয়ে পুলিশের প্রশং’সা করতে শুরু করে। লোকেরাও এই ঘটনা সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ” এই পৃথিবীতে না জানে কত রকমের নি’শংস মানুষ আছে যারা কিনা এই ছোট্ট নি’ষ্পাপ শি’শুটির মূল্য দিতে ও জানেনা ফেলে দিয়েছিল ন’র্দমার মধ্যে সেই মানুষটিকে অসংখ্য ধন্যবাদ যিনি কিনা এই নিষ্পাপ শিশুটির প্রা’ণ র’ক্ষা করে একটি জীবন বাঁ’চানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ পুলিশকে।”





অন্য একজন ব্যবহারকারী মে’য়েটিকে অব’লম্বন করা পুলিশের বিষয়ে লিখেছেন “ঋষি পালের মতো জ’ওয়ানের প্রতি ইউপি পুলিশ গর্বিত, বদাউন পুলিশ এবং ঋষি পালকে সালাম।” এর পরে শিব ত্রিপাঠি নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন “হৃদয়ের থেকে সালাম স্যার। জন্ম দেওয়া থেকে জীবন র’ক্ষাকারী অনেক বড়, যে সান্ত্বনা আপনি আজ পেয়েছেন, আজ অবধি আপনি কখনও এরূপ হয়তো পাননি তখন আরেক ব্যক্তি খুশি হয়ে বললেন, ‘জীবন র’ক্ষাকারী ইউপি পুলিশ জি’ন্দাবাদ।’ অন্য এক ব্যব’হারকারী অরুণ কুমার “লিখেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ইশ্বর তোমার মঙ্গল করুন। “একজন বলে” খুব ভাল। ঋষি পাল, আপনার মতো লোকের কারণে মানবতা আজ বেঁচে আছে। এভাবে ভালো কাজ করতে থাকুন। জয় হিন্দ।





বন্ধুরা, আমাদের বুঝতে হবে একটি ছেলে বা মেয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। আপনি যদি কোনও সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন তবে এটি আপনার দায়িত্ব তাকে লালন-পালন করে বড় করে তোলা। ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে নি’র্বোধ বৈ’ষম্য মস্তি’স্ক থেকে ত্যা’গ করুন।




