




কঠিন পরিস্থিতিতে থাকতে হবে মানুষের পাশে। মুসোলিনি বা হিটলার এর মতে প্রত্যেক মানুষের সমান অধিকার থাকা উচিত। প্রত্যেক মানুষের কাছে সমানভাবে টাকা বন্টন করে দেওয়ার কথা বলতেন তারা। তা কখনোই সম্ভব হয়ে ওঠেনা বাস্তবিক কারণেই।কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিতে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা পাওয়া উচিত প্রত্যেকের। এমন অনেক নজির ইদানিং উঠে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।





জীবনের এই সত্য সহজ সত্যটাকে মেনে নিয়ে গরীব পরিবার গুলোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তামিলনাড়ুর এক কিশোরী। নিজের পড়াশোনার জন্য জমানো ৫ লক্ষ টাকা অবলীলায় দান করে দিয়েছে সে। তার এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘ।ছোটবেলা থেকে আমরা অনেকেই পড়ে এসেছি, “সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে “। কিন্তু কোন না কোনভাবে এই কথাটি আমাদের প্রত্যেকের মানা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে পিছুপা হয়না কিছু মানুষ। তামিলনাড়ুর মাদুরাই রায় কিশোরী যার নাম এম নেরথা।





জানা যায়, মাদুরাই তার বাবার একটি সেলুনের দোকান আছে। সেখান থেকেই উপার্জন করে মেয়েকে বড় করে তোলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। দশের মধ্যে একজন করতে হবে মেয়েকে, এই লক্ষ্য নিয়েই মেয়েকে পড়াশোনার খরচ হিসাবে তিল তিল করে জানিয়েছিলেন তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা।তবে শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় নয় সামাজিক জ্ঞান এবং মনুষ্যত্বের নিরিখে নিজের ভবিষ্যৎ দৃঢ় করতে চায় এই কিশোরী।





তাই নিজের জমানো টাকা অবলীলায় খরচ করে ফেলে দেশের গরীব দুঃখীদের মধ্যে। এই দুঃসময়ে সাধারণ মানুষের মুখে অন্তত দুবেলা-দুমুঠো অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে চেয়েছি মেয়েটি। তাই মানুষের পাশে এভাবে দাঁড়ানোর এম নেরথা নামের এই কিশোরীকে,”গুডউইল অ্যাম্বাসেডর টু দা পিওর” বা দরিদ্রদের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রসংঘ। দাদা সামান্য সেলুনের দোকান এর ওপর ভরসা রেখে অপরের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে কিশোরী। তার কাজের জন্য প্রশংসা করেছেন রাজ্য সরকার।





তামিলনাড়ু এই সোনার মেয়ের প্রশংসা করেছেন তামিলনাড়ুর প্রতিমন্ত্রী সেল্লুর রাজু। কিশোরীর এই উদ্যোগকে আরো উৎসাহিত করতে থাকে ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস এর অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও নিয়োগ করেন রাষ্ট্রসংঘ। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মানকি বাত অনুষ্ঠানে এই মেয়েটির নাম তোলেন। পাশাপাশি এম নেরথা কে জয়ললিতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী সুপারিশ করেন তিনি। এভাবেই সোনার মেয়েকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন প্রত্যেকে। তাকে দেখে জানায় এই ভাবে ঘরে ঘরে আরো মানুষ এগিয়ে আসতে পারে গরিবদের সাহায্য করার জন্য। আগামী ভবিষ্যৎ এদের হাত দিয়ে যেন আরও উজ্জ্বল হয় এই কামনায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী।




