জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ১১টি শিক্ষা মানুষ দেরিতে শেখে

মানুষ তার বয়সের এক পর্যায়ে যেয়ে আফসোস করে, অনুশোচনা করে। কিন্তু এর কারণ কি! একজন ব্যক্তির জীবনের সমস্ত সময় কেটে যাওয়ার পর সে যখন তা অতীতের ভুল সিদ্ধান্তগুলওর কথা ভাবে, ঠিক তখনি তার কন্ঠ এমন ভার হয়ে যায়। তাই বলে সবাই এমন ভুল করলে চলবে কি করে! আপনিও যাতে ভবিষ্যতে আমন অবস্থায় না পড়েন সে জন্যই আপনার করণীয়গুলো জেনে নিন-

১) সময়ের সঠিক ব্যবহারঃ সময় আপনার জীবনের মহান চিকিৎসক আবার জীবন নাশকারীও হতে পারে। এসব নির্ভর করে আপনার বর্তমান বিবেচনার উপর। হারিয়ে যাওয়া সময় আর কখনো ফিরে পাবেন না। তাই সময়ে কাজ সময়ে করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

২) নিজের রুটিন তৈরী করুনঃ নিজের দৈনিক কাজের জন্য একটি সুন্দর রুটিন থাকা জরুরী। তাহলে আপনি নিজেই আপনার কাজ খুব সহজেই করে নিতে সক্ষম হএবন। এতে করে আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।

৩) ঝুঁকি নিনঃ জীবনের যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই তা বাস্তবে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। অনেক কঠিন মুহূর্তের সম্মুখীন হতে হয়। যে জীবনের পথ চলার এই ঝুঁকি নিতে পারবে না, তার পক্ষে সুন্দর জীবনের আশা করাও সম্ভব নয়।

৪) নিজের মনের কথা শুনুনঃ নিজের মন যা বলে তা মেনে কাজ করলেই মানুষের জীবনের পরিতৃপ্তি মেটে। পরিবার বা কাছের মানুষদের কথা রাখতে যেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ তার নিজের ইচ্ছার বা শখের বাইরে কাজ করে বসে। আর তা আজীবন তাকে তিলে তিলে কষ্ট দেয়।

৫) কাজকে ভালোবাসুনঃ আপনি যে কাজই করেন না কেন, আপনার কাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিৎ। কাজের প্রতি আপনার একাগ্রতা আপনার জীবনের ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখে। এছাড়া আপনাকে দেখে অনেকেই সেই শিক্ষা নেবে।

৬) অভিযোগ করার প্রবণতা বন্ধ করুনঃ কোন বাচ্চা শিশুর মতো যে কোন কথাতেই অভিযোগ বা দোষ ধরানোর স্বভাব বন্ধ করুন। তা না হলে এটি আপনাকে অন্যের কাছে অনেক নিচু মানসিকতার পরিচয় দেবে।

৭) নীরবতা বজায় রাখাঃ আপনি অনেক সময় ভুল করে কারো সামইনে আপনার প্রতিক্রিয়া দেখান। এটি আদৌ আপনার উচিত নয়য়। কেউ ভুল করলে আপনার নীরবতা তাকে অনেক বড় শিক্ষা দিতে সক্ষম।

৮) সুন্দর জীবন উপভোগ করুনঃ আপনি আপনার জীবনের ভারসাম্য হার‍্যে ফেললে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হবেন। তাই আপনার নিজের মতো করেই বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে সঠিক পথটি বেছে নিন।

৯) হার না মানাঃ আপনাকে হয়তো অনেক সময় অনেক সং’কটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আপনি যদি সে পরিস্থিতির কাছে হার মেনে বসে থাকেন তাহলে আপনি আপনার জীবনের কাছেও হার মানতে বাধ্য হবেন।

১০) টাকা সমাধান নয়ঃ কেউ টাকা দিয়ে সুখ কিনতে পারে না। আমরা অনেক সময় সমৃদ্ধি আনতে প্রধান উপকরন হিসেবে আমাদের স্বপ্ন, সম্পর্ক, সময় এবং আরও অনেক কিছু দাবি করি। কিন্তু সে সমৃদ্ধি মানে এই নয় যে আপনি প্রকৃতভাবে সুখি হবেন।

১১) কঠোর পরিশ্রম: চেহারা দেখিয়েই কখনো কারো জীবনে সাফল্য আসে নি। বরং কঠোর পরিশ্রম আর সাধনার ফলে মানুষের জীবনের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসে। তাই যত দ্রুত পারেন নিজের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কঠোর পরিশ্রম শুরু করুন।

Related Posts

প্রত্যেক শনিবার হনুমানজির কাছে উৎসর্গ করুন এই জিনিসগুলো, আপনি সমস্ত বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পাবেন

আপনারা সকলেই মানেন যে শনিবার দিনটি শুধুমাত্র শনি দেবকেই উৎসর্গ করা হয়। কিন্তু আপনারা যদি শনিবারে  হনুমানের উপাসনা করেন,তাহলে হনুমান এবং শনি দেব দুজনই একসাথে সন্তুষ্ট হবেন।…

এই সাধরণ নিয়মে হনুমানজির পুজো করলে কেটে যাবে সমস্ত সংকট, দূর করবে কু-দৃষ্টির প্রভাব

রামের ভক্ত ভগবান হনুমানকে সমস্ত সমস্যা থেকে উদ্ধা’র করে বলে হনুমানজিকে সংকট মোচন দেবতা বলে মনে করা হয়। সপ্তাহের প্রতিটি দিন কোনও না কোনও দেবতার উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত।…

মঙ্গলবারে হনুমানজির উদ্দেশ্যে ভক্তিভরে শুধু এইটুকু নিয়ম করুন জীবন পুরোপুরি বদলে যাবে

হিন্দুশাস্ত্রে তেত্রিশ কোটি দেব দেবীর কথা উল্লেখ আছে। আর এই প্রত্যেক দেব দেবীর আরাধনার একটি নির্দিষ্ট তিথি রয়েছে। আমাদের সপ্তাহের প্রত্যেকটি দিনই কোন না কোন দেব দেবীর…

শৈশব কাল থেকে সন্তানদের প্রতি বাবা মায়ের যে ১০ টি ভুলের কারণে পরে আফশোস করতে হয়

ঈশ্বর মানুষের কাছে সব সময় থাকতে পারেন না বলেই তার পরিবর্তে তিনি জগতে বাবা-মাকে পাঠিয়েছেন।প্রত্যেক বাবা-মার কাছে তাদের শ্রেষ্ঠ উপহার তাদের সন্তান। প্রত্যেক অভিভাবকরাই চায় জীবনের সেরা…

মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে এই উপায় গুলো মেনে চলুন কোনদিনও আপনার সংসারে কোন কিছুর অভাব থাকবে না

মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করে জীবনে কখনও অর্থের অভাব হয় না এবং জীবন সুখের সাথে চলে যায়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মী থাকেন সেই বাড়িতে সর্বদা সুখ…

ছোট ছোট যে ভুলের কারণে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন,সংসারে আসে দরিদ্রতা অভাব-অনটন! জেনে নিন তার প্রতিকার

একটি খালি বাড়িতে যখন একটি পরিবার একত্রিত ভাবে বসবাস করতে শুরু করে একটি পরিবার একটি করে তোলে। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কথা বলার সাথে সাথে পরিবারের ভালবাসা, বাস্তুও…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *