




হনুমান জি কলিযুগের সর্বাধিক শক্তিশালী ও জাগ্রত দেবতা। হনুমান জিৎ পুণ্যের খনি, তাঁর মতো আর কেউ থাকতে পারে না। হনুমান জী প্রতিটি কাজ সফল করতে আসে। কাজ যেমনি হোক না কেন হনুমানজী প্রতিটি কাজ দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করেছেন। আমাদের হনুমান জির কাছ থেকে শেখা উচিত। আমরা রামের পরম ভক্ত ভগবান হনুমানের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। আসুন, আজ হনুমান জির কাছ থেকে শিখুন কীভাবে জীবন যাপন করা যায় ।





নিজের পরিচিতির যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে: হনুমান জির কাছ থেকে যোগাযোগ দক্ষতার দক্ষতা শিখতে হবে। জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য যোগাযোগ দক্ষতার দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। হনুমান জি যখন লঙ্কায় প্রথমবারের মতো মাতা সীতার সাথে সাক্ষাত করেছিলেন, তিনি মাতা সীতাকে বিশ্বাস করেছিলেন যে ভগবান রাম এসে তাঁর অসামান্য দক্ষতায় আপনাকে এই লঙ্কা থেকে নিয়ে যাবেন।





নিজেকে সব সময় হাসি খুশি রাখুন: প্রকৃতি জীবনে শালীন প্রকৃতি থাকা জরুরি। বিন্রম প্রকৃতির সমৃদ্ধ, ভগবান হনুমান লঙ্কায় পারি দেওয়ার সময়, যখন সুরসা নামক এক অসুর তাকে মধ্য সমুদ্রে থামিয়ে দিয়ে তাঁর সাথে যুদ্ধ শুরু করে, হনুমানজি নির্লজ্জভাবে সুরসার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। সুরস হনুমানের বিনীত প্রকৃতির প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে লঙ্কায় যেতে দিলেন।





হনুমানজি যদি এটি চাইতেন তবে তিনি সুরসাকে মে’রে ফেলতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেন নি। হনুমান জি নিজেকে সংযত রেখে বিনম্র ও আন্তরিকতার সাথে অনুরোধ করেছিলেন। আমাদের এটিও মাথায় রাখা উচিত। যে সমস্যাটা সুস্থ মাথায় মানুকে বুঝিয়ে পারা যাবে সেটাতে অঝতা ঝা’মেলায় জড়িয়ে না পড়াই ভালো এতে নিজেরই ক্ষ’তি হবে।





জীবনে সর্বদা নিজেকে সংযত রাখুন: হনুমান জি তাঁর জীবনে সর্বদা সংযম রেখেছিলেন। তিনি ভগবান রামের সেবার জন্য আজীবন নিজেকে সঁপে ছিলেন এবং প্রতিটি কাজ সংযম রেখে মনঃসংযোগ সহকারে শেষ করেছিলেন। সাফল্যের জন্য জীবনে ধৈর্য রাখা জরুরি। নিয়ম-নিষ্ঠা ও মনঃসংযোগ সহকারে কর্মক্ষেত্রে কাজ করা উচিত। তবেই সফলতা আপনার দোরগোড়ায় এসে পৌঁছবে।





প্রতিটি সমস্যা সমাধান নিজেই খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন: হনুমান কোনও কাজ অর্ধেক রেখে যায় না। তাদের প্রতিটি সমস্যার সমাধান রয়েছে। হনুমান জী যখন সঞ্জীবনী বুটি নিতে গেলেন, তখন তিনি ওষুধটি চিনতে পারলেন না এবং পুরো পর্বতটি তুলে নেওয়ার পরে লঙ্কায় চলে গেলেন যাতে পর্বতে উপস্থিত পাওয়া যায়।আপনার কর্মক্ষেত্র কোন সমস্যা হলে সেটা গভীরভাবে মনোনিবেশ করে নিজেই তার সমাধানের উপায় বার করুন। এতে আপনার অপরের প্রতি নির্ভর হতে হবে না।





নিষ্ঠাবান ভাবে গড়ে তুলুন: হনুমান যে কাজই করেন না কেন, তিনি বিশ্বস্ততার সাথে সেই কাজটি সম্পাদন করেন। ভগবান রামের সেবা সবচেয়ে বড় উদাহরণ। হনুমানের চেয়ে বড় ভক্ত আর কেউ হয়নি, কেউ থাকবে না। কর্ম ক্ষেত্রে কোন কাজ ছোট-বড় হয়না। আপনি যে কাজটি করছেন সেটি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে শেষ করুন। নিজেকে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে এমনভাবে গড়ে তুলুন যাতে আপনাকে কর্মক্ষেত্রে কোন ভাবে কেউ অপছন্দ না করে তাতে আপনার কাজটি সহজেই হাসিল হয়ে যাবে।




