বাস্তুশাস্ত্র মতে এই ৬ টি জিনিস আপনাকে দারিদ্রতার চরম সীমায় ঠে’লে দেয়, তাই আজিই বাড়ি থেকে দূর করুন।

আজকের অর্থনৈতিক যুগে দারিদ্র্য কোন অভিশা’পের চেয়ে কম নয়। এই অর্থনৈতিক যুগে অর্থ ছাড়া কোন অর্থনৈতিক কার্যকলাপ সম্ভব নয়। এই কারণেই গরীব মানুষের আজকাল কোন সম্মান নেই। এমনকি কেউ তাদের সম্পর্কে চিন্তাও করে না। একদিকে, যাদের ধনসম্পদ আছে, তাদের সবাই সম্মান দেয়।অন্যদিকে দরিদ্র ব্যক্তি তার জীবনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতেও পারে না। এর জন্য, তার কাছে এক টাকাও মূল্যবান। এ কারণে, আজকের দিনে কেউই দরিদ্র হয়ে থাকতে চায় না।

এমনকি ভিক্ষুকরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। দারিদ্র্য বা দারিদ্র্যতার মধ্যে জীবনযাপন প্রত্যেকের পক্ষে খুবই কঠিন। প্রত্যেক ব্যক্তিই অর্থ উপার্জন করতে কঠোর পরিশ্রম করে, কিন্তু কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রমই ফলএনে দেয়।আমরা প্রায়শই দেখি কিছু অবাঞ্চিত জিনিস আমাদের ঘর অথবা দোকান সংলগ্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করে যা আমাদের দারিদ্রতার কারন হয়ে দাঁড়ায়।

ব্যক্তি এইসব অবাঞ্চিত ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রকে অবহেলা করে এবং নিজের গোটা জীবনটাকে দারিদ্রতার সাথে সংঘ’র্ষ করে কা’টিয়ে ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বাড়ি থেকে এই অবাঞ্ছিত জিনিসগুলি অবিলম্বে ঘর বা দোকান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়, তবে আপনার অর্থপূর্ণ অভাব কয়েক দিনের মধ্যে অতিক্রম হতে পারে।আজকেই দূর করুন এই অবাঞ্চিত জিনিসগুলোকে।আপনি হয়তো প্রায়শই খেয়াল করেছেন যে পায়রা ঘরে অথবা দোকানে তাদের বসতি স্থাপন করে।

আপনি যদি বাস্তূশাস্ত্রে বিশ্বাস করে থাকেন তবে বাস্তূশাস্ত্র অনুযায়ী, ঘর অথবা দোকান বা পাসবর্তী কোনো স্থানে পায়রার বাসা অস্থিরতার সৃষ্টি করে। শুধু এটিই নয়, এটি আপনার জীবনের দারিদ্র্যতাকে টেনে আনে। পায়রার বাসার কারণে, সবসময় আপনার জীবনে অর্থের সং’কট বজায় থাকে।বহুবার,ঘরের বাইরে দেয়ালে অথবা ছাদে আগাছার সৃষ্টি হয় যার ফলে ঘরটির সিলিংয়ে ও দেয়ালে ফাটল ধরতে শুরু করে এবং ঘরের দেয়াল ও সিলিং’য়ের অবন’তি শুরু হয়।

যদি আপনি বাস্তূশাস্ত্রে বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে এটি খুব অশুভ এবং এটি ঘটলে অবিলম্বে আগা’ছা ছেটে ঘরের দেয়াল ও সিলিং’য়ের মেরামত করা উচিত। এটি বিশ্বাস করা হয় যে ভাঙা ও বিক্ষিপ্ত দেয়ালগুলি দরিদ্রতা ও দুর্ভাগ্যকে ঘরে ডেকে আনে।এটা মানা হয় যে কোনো বাড়িতে মাকড়সার জা’ল বোনা একটি অশুভ লক্ষণ ও দুর্ভাগ্যের একটি চিহ। যে বাড়িটিতে মাকড়সা তার জা’ল উৎপাদন করে, সেখানে সবসময় ধনসম্পদের অভাব থাকে।

যদি আপনিও আপনার বাড়িতে মাকড়সার ‘জা’ল লক্ষ করে থাকেন তবে তা অবিলম্বে সাফ করুন এবং এদিকে লক্ষ রাখবেন যে মাকড়সা কখনোই যেন আপনার বাড়ি অথবা দোকানে জা’ল বুনতে না পারে।প্রত্যেক ব্যক্তিই তার বাড়ির সৌন্দর্য ও মনোরম পরিবেশকে বজায় রাখতে গাছপালা রোপন করে।যদি আপনিও আপনার বাড়ি অথবা দোকানের পাসবর্তী গাছপালাতে শুকনো পাতার উপস্থিতি লক্ষ করে থাকেন, তবে তা অবিলম্বে কাটুন।

এটা আপনার আর্থিক উন্নতিতে বাধার সৃষ্টি করে।মৌমাছি একটি খুবই বিপজ্জ’নক পোকা। অনেক সময় এটি আমাদের ঘরে বা আশেপাশে মৌচাক তৈরি করে। মৌমাছির কামড় ভ’য়ানক ব্যথার সৃষ্টি করার এছাড়াও কামড় সংলগ্ন এলাকা ফুলেও যায়। মৌমাছির চা’ক আপনার আর্থিক অবস্থার উপর খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে।ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী,বাদুড় এর মুখ দেখাও অ’শুভ এই অবস্থায়, এই প্রাণীটির বাসস্থানে বাস করাও যে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে তা ভাবাও যায় না। বাদুড়ের উপস্থিতি দারিদ্র্যতাকে টেনে আনে এছাড়াও বিভিন্ন জীবাণুর আগমন ঘটায়।

Related Posts

প্রত্যেক শনিবার হনুমানজির কাছে উৎসর্গ করুন এই জিনিসগুলো, আপনি সমস্ত বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পাবেন

আপনারা সকলেই মানেন যে শনিবার দিনটি শুধুমাত্র শনি দেবকেই উৎসর্গ করা হয়। কিন্তু আপনারা যদি শনিবারে  হনুমানের উপাসনা করেন,তাহলে হনুমান এবং শনি দেব দুজনই একসাথে সন্তুষ্ট হবেন।…

এই সাধরণ নিয়মে হনুমানজির পুজো করলে কেটে যাবে সমস্ত সংকট, দূর করবে কু-দৃষ্টির প্রভাব

রামের ভক্ত ভগবান হনুমানকে সমস্ত সমস্যা থেকে উদ্ধা’র করে বলে হনুমানজিকে সংকট মোচন দেবতা বলে মনে করা হয়। সপ্তাহের প্রতিটি দিন কোনও না কোনও দেবতার উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত।…

মঙ্গলবারে হনুমানজির উদ্দেশ্যে ভক্তিভরে শুধু এইটুকু নিয়ম করুন জীবন পুরোপুরি বদলে যাবে

হিন্দুশাস্ত্রে তেত্রিশ কোটি দেব দেবীর কথা উল্লেখ আছে। আর এই প্রত্যেক দেব দেবীর আরাধনার একটি নির্দিষ্ট তিথি রয়েছে। আমাদের সপ্তাহের প্রত্যেকটি দিনই কোন না কোন দেব দেবীর…

শৈশব কাল থেকে সন্তানদের প্রতি বাবা মায়ের যে ১০ টি ভুলের কারণে পরে আফশোস করতে হয়

ঈশ্বর মানুষের কাছে সব সময় থাকতে পারেন না বলেই তার পরিবর্তে তিনি জগতে বাবা-মাকে পাঠিয়েছেন।প্রত্যেক বাবা-মার কাছে তাদের শ্রেষ্ঠ উপহার তাদের সন্তান। প্রত্যেক অভিভাবকরাই চায় জীবনের সেরা…

মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে এই উপায় গুলো মেনে চলুন কোনদিনও আপনার সংসারে কোন কিছুর অভাব থাকবে না

মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করে জীবনে কখনও অর্থের অভাব হয় না এবং জীবন সুখের সাথে চলে যায়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মী থাকেন সেই বাড়িতে সর্বদা সুখ…

ছোট ছোট যে ভুলের কারণে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন,সংসারে আসে দরিদ্রতা অভাব-অনটন! জেনে নিন তার প্রতিকার

একটি খালি বাড়িতে যখন একটি পরিবার একত্রিত ভাবে বসবাস করতে শুরু করে একটি পরিবার একটি করে তোলে। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কথা বলার সাথে সাথে পরিবারের ভালবাসা, বাস্তুও…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *