




হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী তুলসী গাছের মাহাত্ম অপরিসীম। শাস্ত্র অনুযায়ী তুলসী পাতা ও তুলসী গাছ হল খুবই পবিত্র। দেব দেবীদের পুজোয় তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। তুলসী গাছেরও যেমন অলৌকিক গুন আছে তেমনই ভেষজ বিদ্যায় তুলসী গাছ ও পাতারর গুরুত্ব অপরিসীম। তুলসী পাতা সর্দি ও কাশির মহাঔষধ হিসাবে ব্যবহার করাও হয়।





এছাড়াও বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে এবং কিছু নিয়ম পালন করলে দরিদ্রতা দূর হয় এবং সংসারে সুখ শান্তি আসে। তাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।





প্রাচীন শাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে মৃত্যুর দেবতা যমরাজও নাকি ঘরে প্রবেশ করতে পারেন না। বাড়িতে তুলসী গাছ রোপণ করলে গাছের মূল যত বৃস্তিত হতে থাকে তত বৃস্তিত হয় পুণ্য লাভ। তুলসী পাতা দিয়ে নারায়ণের পুজো করলে সারা জীবনের পাপ নষ্ট হয়।





বারিরে যে দিকে তুলসীর গন্ধ যুক্ত বায়ু প্রবাহিত হয় সেদিক পবিত্র হয়। তুলসী মঞ্জুরী দিয়ে বিষ্ণুর পুজো করলে মুখ্য লাভ হয়, পর জন্মের ক্লেশ বহন করতে হয় না। নর্মদা ও গোদাবরী নদিতে স্নান করলে যে পুণ্য লাভ হয়, তুলসীর সংস্পর্শে সেই ফল লাভ হয়।





শালগ্রাম শিলাকে ভগবান বিষ্ণুর স্বরূপ বলে মনে করা হয়। তাই যে বাড়িতে তুলসীর সাথে শালগ্রাম শিলা থাকে সেই বাড়িতে দরিদ্রতা প্রবেশ করতে পারে না। শাস্ত্রে লেখা আছে যে একবার যদি শালগ্রাম শিলায় স্পর্শ কোরা যায় তাহলে পূর্ব জন্মে আপনি যা পাপ করেছিলেন সেই পাপ ধ্বংস হয়ে যায়।





আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভের জন্য প্রতিদিন সকালে স্নান করে তুলসী গাছে জল নিবেদন করুন। এবং তুলসী গাছে জল দেবার সময় এই কথাটি বলুন, ‘তুলসী তুলসী বৃন্দাবন, তুলসী নারায়ন তোমার মাথায় ঢালি জল, অন্তিমকালে দিও স্থল।’




