




যোগ্যতা আর কর্মদক্ষতার কাছে বয়স সেভাবে কোন প্রভাব ফেলতে পারে না। নিজের প্রতিভা থাকলে তা কোনোভাবেই আটকে রাখা যায় না। বয়স টা সবে সে উনিশ পার করে কুড়িতে পড়েছে এই ছেলেটি ৷ কিন্তু এই কুড়ি বছর বয়সে অভিজ্ঞ গুণী মানুষের মত এক জীবনে রূপকথার গল্প লিখে ফেলেছে। এখনও গল্পের বই লেখেনি। সে তার এই মাত্র কুড়ি বছর বয়সে অত্যাধিক বুদ্ধি আর প্রতিভার মাধ্যমে আশ্চর্য রকম ঘটনা ঘটিয়েছে।





এই কুড়ি বছর বয়সে একটা সাধারন ছেলে কি করতে পারে? হয়তো পরীক্ষায় বড্ড ভাল রেজাল্ট করে পারে ৷ অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেদার মজা করতে পারে ৷ কিন্তু এই ছিল সেই সব কিছুই করেনি। এই ছেলে সবার চাইতে আলাদা ৷ সবার মধ্য এক আলাদা নজির গড়েছে। স্থাপন করেছেন তেলেঙ্গানা নিবাসী ২০ বছরের সঙ্কর্ষ চন্দ ৷ স্টার্ট আপ ব্যবসায় বছরে ২০ কোটি টাকা রোজগার সঙ্কর্ষর ৷





কিন্তু কী করে? তার এই বিপুল আয়ের উৎসই বা কী? কি করে সেই ব্যবসা শুরু করল? এই ছোট বয়সে এত তুখোর আইডিয়া সে কোথায় পেল? তার এত কিছু ইতিহাস জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে আরও ৬ বছর আগে ৷ তখন সঙ্কর্ষের বয়স মাত্র ১৪ বছর ৷ ছোট থেকে তাঁর অর্থনীতির প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল৷ এবং সেই ছোট থেকে অর্থনীতির বিষয়টা বেশ অনেকটাই নখদর্পণে সে করে ফেলে।





আর তার পরেই সেই সময় ওই ছোট বয়সে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করার জন্য তার দিদিকে রাজি করে ফেলেছিলেন।তার জন্য যে প্রথম টাকা সে বিনিয়োগ তা স্কলারশিপের থেকে পাওয়া ২০০০ টাকা সঙ্কর্ষ বিনিয়োগ করেছিলেন৷ সেই বিনিয়োগ থেকে সে মুনাফা অর্জন করে।আর তারপর থেকেই তার এই বিনিয়োগের উপর আরো বেশী আগ্রহ বেড়ে যায়। ৷





এরপর ফিনান্সিয়াল টেকনোলজি বিষয়ের ওপর তার আগ্রহ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিল ৷ সেই ছোট বয়স থেকেই সে বিভিন্ন কোম্পানি এক সূত্রে কীভাবে হয়েছে,তাদের ব্যালান্স শীট অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য যাচাই করতে শুরু করেন ৷ এরই সঙ্গে সে তার জামাইবাবুর সাথে আলোচনা করে চিনা এবং মার্কিন কোম্পানির স্টকে একে একে বিনিয়োগ করত শুরু করেন





এরপর থেকে গ্রেটার নয়ডার বেনেট ইউনিভার্সিটি থেকে বি টেক ৷ আর এই ইউনিভার্সিটির এক সদস্যই তাঁকে স্টার্ট আপ খোলার বুদ্ধি দেন এবং এই বিষয়ে তাকে অনেক সাহায্য করেন বিভিন্ন কোম্পানি বিনিয়োগ করা সমস্ত অর্থ দিয়ে এ বার স্টার্ট আপ খুলে ফেলেন সঙ্কর্ষ ৷ তখন তাঁর বয়স ১৮ ৷ স্টার্ট আপের নাম ‘সভার্ত’৷





আর সঙ্কর্ষ ইংল্যান্ড, ইউএসএ, ডেনমার্ক এবং ভারতের মতো দেশের বিভিন্ন নামী কোম্পানির ইনভেস্ট স্ট্র্যাটেজি কী হবে তা ঠিক করে দিতে শুরু করেন ৷এর পাশাপাশি নবীন বিনিয়োগকারীদের বিনিযোগ পদ্ধতি কেমন কী হবে তা তিনি ঠিক করে দিতেন। সেই মতো তিনি এমন বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল ওয়েবসাইটেও কাজ করতেন৷ আসলে বিনিয়োগের এই স্ট্যাটেজি সম্পর্কে তাঁর এই সম্যক জ্ঞানই তাঁকে এই সফলতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। তার ভবিষ্যতে আরও বড় প্ল্যান রয়েছে।




