গাড়ি বিক্রি করে ক’রোনা রোগীদের অক্সিজেন দান, নজির স্থাপন দুই তরুণের

দেশজুড়ে ক’রোনা মহামা’রী অব্যাহত। পৃথিবীজুড়ে বহু মানুষ এতে আক্রা’ন্ত হয়েছেন। লক্ষাধিক মানুষের মৃ-ত্যু হয়েছে। ২০২০ সালে যে সকলের কাছে এতটা ম’র্মান্তিক হয়ে দাঁড়াবে তা হয়তো আগে কেউ কল্পনা করতে পারেনি। চিকিৎসার অভাবে মৃ-ত্যু হচ্ছে এমন উদাহরণও কম নয়। এখন অবশ্য দেশজুড়ে আনলক পরিস্থিতি চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে সংক্র’মণ আটকানো তো দূরের কথা বরং প্রতিদিন সংক্র’মনের এবং মৃ-ত্যুর নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।

তবুও দেশের অর্থনীতি ও অন্যান্য দিক গু’লির কথা বিচার বিবেচনা করলে, পরিস্থিতিকে সাধারণ মানুষের কাছে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে দেওয়াটাও জরুরি। এমনিতেই লকডাউন এর জেরে বহুদিন ধরে মানুষকে অনেক কষ্ট স’হ্য করতে হয়েছে। কর্মসংস্থানহীন হয়ে থাকতে হয়েছে এমন উদাহরণও খুঁজলে পাওয়া যাবে। গোদের ওপর বি’ষফোঁ’ড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রবল ঘূ’র্ণিঝড় আমফান এবং নিসর্গ। সেই ক্ষ’য়ক্ষ’তি কাটিয়ে উঠতে কিছুটা হলেও বাকি রয়েছে এখনো।

প্রাণঘা-তী ক’রোনা ভাইরাস আ’ক্রা’ন্ত হয়ে শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে যাতে কোনো রোগীর মৃ-ত্যু না হয় তার দেখভালের দায়িত্ব নিলেন দুই যুবক। তাদের বাড়ি মুম্বাইয়ে। করণা রোগে আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন তার সাথে শ্বাসক’ষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন এমন মানুষদের খবর পেলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তড়িঘড়ি হাজির হয়ে যাচ্ছেন তারা। এই সময় যখন সারা দেশের মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঘরে বসে রয়েছে সেই সময় এমন নজিরবিহীন দৃশ্য আবারো প্রমাণ করে, পৃথিবীতে মানবিকতার মৃ-ত্যু ঘটেনি।

তাদের দেওয়া অক্সিজেন সিলিন্ডার এর জন্য কোন মূল্য প্রদান করতে হয় না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন দুস্থ অসহায় মানুষদের কাছে। তাদের দুইজনের মধ্যে একজনের নাম আব্বাস রিজভি এবং অন্যজনের নাম শাহনওয়াজ হোসেন। দুজনে একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক’রোনা মোকাবিলায় ল’ড়ে চলেছেন।

আব্বাসের হঠাৎ এমন উদ্যোগের কারণ হিসেবে তিনি এক ম’র্মান্তিক দৃশ্যের কথা জানিয়েছেন। নিজের চোখের সামনেই নিজেকে খুড়তুতো বোন কে ছটফট করে মারা যেতে দেখেছেন তিনি। মেয়েটি ছয় মাসের অ’ন্তঃস’ত্তা ছিলো। সেই কথাকে স্মরণে রেখেই এমন উদ্যোগ। সেবার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে শাহনেওয়াজ নিজের গাড়ি বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “শহরের হাসপাতালে ভিড় উপচে পড়ছে।

সজ্জা আর অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য হা’হাকার পড়ে গিয়েছে। সবকিছু দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দিন হোক কিংবা রাত যখনই কারো অক্সিজেন সিলিন্ডারের দরকার করেছে দুই বন্ধু শাহনাওয়াজ আর আব্বাস ছুটে গিয়েছে তাদের কাছে। দুই বন্ধু জানিয়েছেন, যতক্ষণ তাদের দেহে ক্ষ’মতা এবং অর্থ থাকবে ততক্ষণ তারা নিজেদের জনসেবাতেই নিয়োজিত রাখবে।

Related Posts

বোনকে হিং’স কুকুরের থেকে উ’দ্ধার করতে গিয়ে আ’ক্রান্ত হয়ে ছোট্ট ছেলেটির মুখে পড়ল ৯০ টা সে’লাই, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি

ভাই বোনের ভালোবাসা আর পাঁচটা সম্পর্কের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এরা একে অপরের জীবন বাঁ’চাতে নিজের জীবন বাজি রাখতেও পারে। এই পৃথিবীতে সকল ভাইবোনের মধ্যে এমন ভালোবাসার বন্ধন…

বয়স একশো বছর, তবুও জং পড়েনি আবেগে, এই বয়সেও নিজে হাতে আঁকা শাড়ি বিক্রি করে উপার্জন করেন এই বৃদ্ধা

প্রতিদিন সকালে পদ্মম নায়ার খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, সংবাদপত্র পড়েন। বয়স একশো বছর প্রায়।চিত্রকর্ম, বুনন এবং আনুষঙ্গিক কাজকর্ম করেন। যদিও বয়সের সাথে খুবই বেমানান তবুও নিজের…

মাথায় হাত চীনের, রাতারাতি ভারতে চিনা অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ায় চীনের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া কি জানেন?

গত ১৬ জুন রাতে লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনার ওপর আক্রমণ করার ঘটনার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় কড়া জবাব দিল ভারত। সোমবার রাতারাতি ভারতে ব্যান করে দেওয়া হল…

মনোবল আর হার্ড ওয়ার্ক নিয়ে কৃষকের কন্যা ইউপিএসসি পরীক্ষাটি নিজের চেষ্টায় পাস করলো

যদি সাহস এবং আবেগ থাকে তবে প্রতিটি গন্তব্য সহজ, কৃষকের কন্যা ইউপিএসসি পরীক্ষাটি নিজের চেষ্টায় পাস করল কেউ কেউ ঠিকই বলে, সাফল্য কখনই স্নেহশীল হয় না।সাফল্য পাওয়ার…

অফিসে ম্যানেজার বাবুকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করায় মহিলা সহকর্মীকে অফিসেই মা’রধ’র করে, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোর জেলায় এক মহিলাকে মা’রধরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পৌছে গেল। বেশ কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি ওই মহিলার সাথে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যটন বিভাগের অধীনে একটি হোটেলের…

সামাজিক মাধ্যমে ফাঁ’স প্রেমিকের সাথে অ’ন্ত’র’ঙ্গ মুহুর্ত , মুহুর্তে ভাইরাল টিকটক স্টারের ভিডিও

বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন ভাবে বিখ্যাত হতে চায়। অনেকেই চায় জনপ্রিয়তার স্বাদ পেতে। তাই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিচ্ছেন অনেক তরুণ তরুণীরা। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সুপ্ত প্রতিভার…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *