




দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবার আগেই ক’রোনা ভ্যা’কসিন নিয়ে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক’রোনা পরিশো’ধক উৎপাদন নিয়ে শুরু হয়ে গেছে পরিকল্পনা। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে প্রধানত চারটি বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গেছে যে প্রধানত যে চারটি বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে তা হল





প্রথমত: এই ভ্যা’কসিন টি আবিষ্কার হবার পরে, যারা ক’রোনা যো’দ্ধা, অর্থাৎ চিকিৎসক এবং নার্স সবার আগে সুযোগ পাবে এই ভ্যাকসিন টির। কো ভ্যা’কসিন নামে এই ওষুধটি উৎপাদনের স্তরে রয়েছে।





দ্বিতীয়তঃ এই ভ্যা’কসিনটি যেন প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, এবং সব স্তরের লোক যাতে এই ভ্যাক’সিনটি পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে। সংক্র’মণ বেশি থাকলে তাদের শরীরে সবার আগেই ভ্যা’কসিন প্রয়োগ করতে হবে।





তৃতীয়তঃ এই ভ্যা’কসিনটি যাতে সহজলভ্য হয় তার দিকে নজর রাখতে হবে। এই ভ্যা’কসিনটি নিয়ে যাতে কোন ভাবে স্ব’জনপো’ষণ না হয় সেদিকে ক’ড়া নজ’র রাখবে প্রশাসন।





চতুর্থত: প্রস্তুতি,উৎপাদন এবং সবশে’ষে ভ্যা’কসিন দেওয়া এই পুরো প্রক্রিয়াটি, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি যাতে সাধারণ মানুষের প্রকাশ্যেই ঘটে, তার ওপর নজর রাখতে হবে। কোনভাবেই যাতে এই ভ্যা’কসিন নিয়ে কা’লোবা’জারি না হয়, তার দিকে ক’ড়া নজর রাখবে প্রশাসন।





জুলাই মাসে মানবদে’হের শরী’রে কো ভ্যা’কসিন প্র’য়োগ করার ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। এই ভ্যা’কসিন টিকে আগে অন্য প’শুদের দে’হে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, তাতে নিশ্চিত ভাবে সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আশা করা যায় মানুষের দে’হে এই ভ্যা’কসিন প্রয়োগ করলে সাফল্য আসবে। ভ্যা’কসিনটি তৈরি করা হয়েছে ভারতের বায়টেক গবেষণাগা’রে।তাদের সাহায্য করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভা’য়ারোলো’জি।





চিকিৎসক জয়দীপ ঘোষ জানিয়েছেন,প্রথম ১০০ জনের শরী’রে এই ভ্যা’কসিন ট্রায়াল করা হবে।ফেস ওয়ানের ট্রায়ালের পর বোঝা যাবে এই ভ্যা’কসিনের কি প্রতিক্রিয়া এবং পা’র্শ্বপ্রতি’ক্রি’য়া হতে পারে। ফল যদি আশানুরূপ হয় তাহলে একটি বড় সংখ্যার মানুষের শরীরে এই ভ্যা’কসিন প্রয়োগ করা হবে।গঙ্গারাম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এস পি বত্রা এই ভ্যা’কসিন প্রয়োগের ব্যাপারে একটি আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। তিনিও জানিয়েছেন যে, ভারত সম্পূর্ণ পরিমাণে এই ভ্যা’কসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তৈরি। গতকাল প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার আগে এই ভ্যা’কসিন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।





তারপর এই ভারতের তৈরি করনা ভ্যাকসিনের হিউম্যান ছাড়পত্র দেয়া হয়। জুলাই এই ভ্যাকসিন দ্বিতীয় তৃতীয় পর্যায় হিউম্যান হবে। তারপর যদি চূড়ান্তভাবে সেই ব্যক্তিকে সকল হয় তাহলেই আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর এর মধ্যেই ভারতে আস্তে আস্তে পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন সরবরাহ হতে থাকবে। ধীরে ধীরে তা আস্তে আস্তে সব জায়গায় পাওয়া যাবে। এবং এই ভ্যাকসিনের দাম যাতে সাধারণ মানুষের আয়ত্বের মধ্যে থাকে সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। এখন দেশবাসী এই চূড়ান্তভাবে ভ্যাকসিন আবিষ্কার এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে ।




