“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছিলেন যে, কোভিড ১৯ এর সাথে বসবাসকারী সমস্ত দেশই আগামী মাসগু’লিতে এই ক’রোনা ভা’ইরাস এক নতুন সাধারণ হিসেবে পরিচিত হবে সকলের কাছে। ক’রোনা ভা’ইরাস বিশ্বব্যাপী ৫,০০,০০০ এরও বেশি লোককে জীবন কেড়ে নিয়েছে একই সঙ্গে এটি ১০ কোটিরও বেশি মানুষকে সং’ক্রামিত করেছে। যারা এখনও এই মহামা’রীটির মাত্রা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেননি,তাদের জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান পরিচালক টেড্রোস আধানম গিব্রাইসাস বলেছেন,” আসন্ন মাসগু’লিতে সমস্ত দেশ যে সমালোচনামূলক প্রশ্নের মুখোমুখি হবে তা হ’ল কীভাবে এই ভাইরাসের সাথে বাঁচতে হবে। এটিই নতুন সাধারণ বিষয়,”।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর প্রধান আরও বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, এই মহামা’রীটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে গতি বাড়ছে। এমনকি ছয় মাস আগে কেউ ধারণাও করতে পারেনি যে, ভাই’রাসটি এতটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর প্রধান আরো বলেছেন যে, “ছয় মাস আগে, আমরা কেউই ভাবতে পারি নি যে কীভাবে আমাদের বিশ্ব – এবং আমাদের জীবন – এই নতুন ভা’ইরাস দ্বারা অশান্তিতে ফেলে দেওয়া হবে,” ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(হু) সর্বশেষবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ক’রোনাভা’ইরাসের মোট সংখ্যা ১০,১৯৯,৭৯৮ এ চলে গেছে এবং মৃ-তের সংখ্যা ৫০২,৯৪৭ এ পৌঁছেছে। “মহামা’রীটি মানবতার সর্বাধিক নিকৃষ্ট ও নিকৃষ্টতম বিষয়কে সামনে এনেছে। সারা বিশ্ব জুড়ে, আমরা দৃঢ় মনোভাবের সংক্ষি’প্তকরণ, উদ্ভাবন, সংহতি এবং দয়া দেখানোর কাজগু’লি দেখেছি। তবে আমরা কল’ঙ্ক, ভুল তথ্য ও মহামা’রীকে রাজনৈতিক করণের সম্পর্কেও দেখেছি,”এমনই ছিল তার প্রতিক্রিয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান, প্রধান বিশ্বজুড়ে দেশগু’লিকে পাঁচটি ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিতে বলেছেন।এইগুলি জীবন বাঁচাতে পারে বলেই তিনি মনে করেন। সেগু’লি হলো,
১-বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ব্যক্তিদেরকে নিজের এবং অন্যদের সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী করে তোলা,
২- নোবেল ক’রোনা ভাইরাস সং’ক্রমণকে দমন করা, অক্সিজেন এবং ডেক্সামেথেসোন দিয়ে জীবন বাঁচানো,
৩- নোবেল ক’রোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণাকে ত্বরান্বিত করা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জাতীয় সংহতি কে আরো জোরদার কর।
করুণা সংক্রমনের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে প্রত্যেকটা দেশ আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে একেবারে নির্ভুল আর কাজে আসার মত ভ্যাকসিন এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি। বৈজ্ঞানিক সংস্থা গুলোর দিকে আস্থা রাখছে সাধারণ মানুষ।